মালালা ইউসুফজাই


২০১৩ সাল। সতের বছরের এক কিশোরীর নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হল। আলোচনা চলতে লাগল, এই কিশোরী পুরস্কার পাবে কি-না? যদি পায়, তা হলে সেটা হবে, সব চেয়ে অল্প বয়সী এক জনের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি। কিন্তু না; শেষ পর্যন্ত তার নাম পুরস্কারের জন্যে ঘোষণা করা হল না। সমঝদাররা অবাক হলেন। কিন্তু পরের বছর মানে, ২০১৪ সালে আবার এই কিশোরী পদকের জন্যে মনোনীত হল। কিছুদিনের মধ্যেই সারা বিশ্ব জানল, ইউসুফজাই মালালা নামে এক কিশোরী ২০১৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার এক জন ভারতীয়’র সাথে যৌথভাবে পেয়েছে।

নোবেল প্রাইজের নাম শুনে নি; এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুস্কিল। পৃথিবীর সব চেয়ে সম্মানিত পদক এটি। জ্ঞান, বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা আর শান্তিতে অসামান্য অবদানের জন্য প্রতি বছর এই পদক দেয়া হয়। মাইন বিস্ফোরকের আবিষ্কারক, আলফ্রেড নোবেলের শেষ উইল অনুযায়ী , তার ফেলা যাওয়া অগাধ সম্পদ থেকে ১৯০১ সাল থেকে এই পদক দেয়া হচ্ছে।

২০১৩ সালে যখন মালালা নোবেল পাবে কি, পাবে না; এ সব নিয়ে বেশ কথা বার্তা চলেছিল। তখন মালামালর কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে, সে বলেছিল, “আমি যদি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাই, তা হলে আমার জন্যে এক বিশাল সুযোগের সৃষ্টি করবে। আর না পেলে, সেটা কোন জরুরী বিষয় হবে না, কারণ আমার লক্ষ্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া না, বরং আমার লক্ষ হল শান্তি এবং আমার লক্ষ হল প্রতিটা শিশু যাতে শিক্ষার আলো পায়”।

কে এই কিশোরী মালালা? যার কাছে নোবেল পুরস্কারের থেকে তার লক্ষ্যে পোঁছানো বেশী জরুরী?

পাকিস্তান দেশটার নামটা তো আমরা সবাই জানি। তার পার্শ্ববর্তী দেশ আফগানিস্তান। এই আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছাকাছি, পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের এক জেলার নাম সওয়াট ভ্যালি (Swat Valley)। ভ্যালি মানে নিশ্চয়ই তোমরা জানো। উপত্যকার নিচু সমতল ভূমির চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা থাকে আর তার মাঝ দিয়ে নদী বয়ে যায়। মনে হয় পাহাড়ে উঠলেই, আকাশ ছোঁয়া যাবে। নয়নাভিরাম সৌন্দর্য যে কারোরই মন কাড়তে বাধ্য। ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথ এখানে বেড়াতে এসে এত অভিভূত হয়েছিলেন, তিনি সওয়াট ভ্যালির নাম দিয়েছিলেন, “প্রাচ্যের সুইটজারল্যান্ড”।

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ ইতিহাস এই জায়গাটার। অনেকটা পুরো ভারতীয় উপমহদেশের প্রবেশ পথ হওয়াতে, একের পর বিদেশিরা এখানে এসেছে। খ্রিস্ট পূর্ব ৩২৭ সালে, আলেকজান্দার দা গ্রেট সওয়াত ভ্যালি জয় করেছিলেন। দ্বিতীয় শতাব্দিতে বৌদ্ধরা দখল করে। ১০০১ সালে আফগান শাসক মাহমুদ গজনী তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। ১৮৫৮ -১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বৃটিশ রাজের অধীনে ছিল। তার পরে পাকিস্তানের এক অংশ হয়ে যায়।

প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে মৌলবাদী তালেবান শক্তিশালী ও সক্রিয় হলে, তার প্রভাব পড়ে এই নিরিবিলি জায়গায়। ১৯৯৫ সালে পাকিস্তানী তালেবানের শাখা( তেহেরাকি নিফাজ এ শারিয়াহ মোহাম্মদই Tehrik-e-Nifaz-e-Shariah-Mohammadi ) ঘোষণা দেয়, তারা তাদের ধরনের ইসলামি শরিয়া আইন সেখানে চালু করবে। এবং বড় ধরণের হট্টগোল, খুনাখুনি আরম্ভ করে। মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ করার ফরমান জারী করেই ক্ষান্ত হয় না, মেয়েদের স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া আরম্ভ করে।

কিছু মানুষ নীরবে তাদের কথা মেনে নেয়। অন্যরা তাদের রুখে দেবার জন্যে প্রতিরোধ আরম্ভ করে। ফলে হানাহানি, ক্ষয়-ক্ষতি বাড়তে থাকলো। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্যে পাকিস্তান সরকার প্যারামিলিশিয়া ও সেনবাহিনীকে পাঠালো। রীতিমত যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে গেল। দু পক্ষে অনেক মানুষ হতাহত হল। আট লক্ষ্যের উপরে মানুষ তাদের ঘর বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে এসে ঠায় নিল। সওয়াট ভ্যালির সব চেয়ে বড় শহর মিংগোরা ও তার আশে পাশে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হল।

জন জীবনে কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরে এলো। স্কুল, কলেজ খুললো। মেয়েদের কিছু স্কুল আবার চালু হল। মৌলবাদী তালেবানরা হুমকি দিতে থাকলো, মেয়েদের স্কুলে গেলে; তারা আক্রমণ করবে। কার্যত তারা তাদের কথা মত কাজ করে দেখাল। মেয়েদের আর তাদের পরিবারের উপর বিবেকহীন, কাপুরুষদের মত আক্রমণ করতে থাকলো।

তারিখটা ছিল অক্টোবর ৯, ২০১২। ১৪ বছরের বালিকা মালালা বাসে করে স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিল। তালেবানরা এরই মধ্যে তার প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছিল। তার পরিবারের ধারণা ছিল, এতটুকু বাচ্চা মেয়ের ক্ষতি কেউ করবে না। কিন্তু তাদের ধারনা ভুল প্রমাণিত হল। মুখোশ পরা এক লোক বাসের মধ্যে উঠে জানতে চাইল, মালালা কে? বন্ধুরা তাকালো মালালার দিকে।

মুখোশধারি একেবারেরে কাছের থেকে মালালার মাথার বাম দিকে গুলি করলো। গুলি মাথা, মুখ, গলা হয়ে ঘাড় পর্যন্ত পোঁছলো। এত বড় আঘাতে কারোরই বাঁচার কথা না।

মালালার বাবার নাম জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাই। তিনি ছিলেন এই উপত্যকা অঞ্চলের একজন শিক্ষাবিদ। শুধু জ্ঞান দান না, তিনি কয়েকটা স্কুলও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি কঠোরভাবে বিশ্বাস করতেন, এক মাত্র জ্ঞানের আলোই শুধ্যমাত্র পারে, অজ্ঞতার কালো অভিশাপ থেকে বাঁচাতে। উনিশ শতকের বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনকারী যোদ্ধা ও পশতু ভাষার মহিলা কবির নাম অনুকরণ করে, প্রিয় মেয়ের নামে রেখেছিলেন মালালা।

১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই সওয়াট ভ্যালির মিংগোরা শহরে মালালার জন্ম। প্রথম কয়েক বছর, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উপত্যকায় আনন্দ আর উচ্ছলতায় বড় হতে থাকে। সারা বছর ধরে বিশেষ করে গ্রীষ্মের পরে মেলা দেখতে প্রচুর দেশী, বিদেশী পর্যটক এসে ভরে যেত। তাদের দেখেও সুন্দর সময় কাটতো। কিন্তু তালেবানরা জায়গাটায় প্রভাব যত বাড়াতে লাগল, পরিস্থিতি তত দ্রুত পরিবর্তিত হতে থাকলো।

তালেবানদের মেয়েদের পড়ালেখা উপর নিষেধাজ্ঞা জিয়াউদ্দিন মালালা অস্বীকার করলেন। বাবার আদর্শে উদ্বুদ্ধ, বাবার স্থাপিত মেয়েদের স্কুলের ছাত্রী মালালাও ক্রোধে ফেটে পড়লো। পাকিস্তানের পেশোয়ারে মালালা ২০০৮ সালে একটা বিখ্যাত বক্তৃতা দিয়েছিল, “কোন সাহসে তালেবানরা আমার জ্ঞান আহরণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে চায়?” (How dare the Taliban take away my basic right to education?")। মালালা তখন মাত্র ১১ বছরের।

তালেবানরা ছোট মালালা আর অন্যান্য বিবেকবানদের কথা গ্রাহ্য করলো না। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বাড়তেই থাকলো। মালালাও আত্ম সমর্পণ করার মানুষ না। সেও তার ক্ষুদে শক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো। ২০০৯ সালের প্রথম দিকে বিবিসে’তে ব্লগ লেখা আরম্ভ করলো; গুল মাকাই ছদ্মনামে। ব্লগের বিষয়বস্তু ছিল, তার ও অন্যান্য মেয়েদের মৌলিক অধিকার শিক্ষা নেয়া থেকে বিরত রাখার জন্যে তালেবানদের হুমকির জবাব। কিন্তু একই বছরের ডিসেম্বরে তার আসল পরিচয় ফাঁস হয়ে গেল। তালেবানরা চরম পত্র পাঠিয়ে দিল, মালালাকে তারা খুন করে ফেলবে।

দুর্দান্ত সাহসের অধিকারিণী মালালা দমলো না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেয়ে শুধু নিজের শিক্ষা গ্রহণের মৌলিক অধিকারের কথাই বললো না, সে ঘোষণা দিল, সব নারীরই শিক্ষা নেয়ার অধিকার আছে। তার শ্রোতা ও সমর্থকের সংখ্যা বাড়তে থাকলো। মালালা ২০১১ সালের আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের জন্যে মনোনীত হল। একই বছর সে পাকিস্তানের যুব শান্তি পুরস্কার পেল।

তালেবানরা মালালাকে নিয়ে এত আগ্রহ মোটেও পছন্দ করলো না। তাদের কাছে এটা বাড়াবাড়ি বলে মনে হল। তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল, এই আগ্রহ একেবারে নিশ্চুপ করে দেয়ার।

কাপুরুষ তালেবানের এক সদস্য মালালাকে কাছের থেকে গুলি করলেও, তাকে খুন করতে পারলো না। তবে মারাত্মকভাবে আহত করে ফেললো। প্রথমে হেলিকপ্টারে করে পেশোয়ারের এক সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। তার মগজ ফুলে যাচ্ছিল। সেটা চিকিৎসা করার জন্যে, অপারেশন করে মস্তিষ্কের হাড্ডির কিছুটা খুলে ফেলা হল। ওষুধ দিয়ে তাকে দীর্ঘ স্থায়ী চিকিৎসা অজ্ঞান (medical coma) করা হল।

উন্নত চিকিৎসার জন্যে ইংল্যান্ডের বারমিংহ্যাম শহরে এক অত্যাধুনিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হল। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে আবার সজ্ঞানে ফিরিয়ে আনলেন। তার পরে একের পর এক সার্জারি হল। মুখের স্নায়ু মেরমত করে বাম অংশের অবশ হয়ে যাওয়াটা ঠিক করা হল। ধীরে ধীরে মালালা সুস্থ হতে থাকলো। সবাইকে অবাক করে দিয়ে, ২০১৩ সালের মার্চ থেকে, মালালা বারমিংহ্যামের এক স্কুলে যাওয়া আরম্ভ করলো। তালেবানরা খবর পেল, মালালা শুধুই সুস্থ হয় নি, সে নারীর শিক্ষা বিস্তারে নতুন উদ্যম নিয়ে কাজ আরম্ভ করেছে। এখন তার কাজের ক্ষেত্র সওয়াট ভ্যালি ছাড়িয়ে অনেক বেশী বিস্তৃত হয়েছে। সে এখন সারা বিশ্বের পুরো নারী জাতির অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছে।

বারমিংহ্যামে জ্ঞান ফিরে আসার পর, মালালার প্রথম কথা ছিল, “আল্লাহকে অনেক কৃতজ্ঞতা, যে আমি এখনো বেঁচে আছি”। তার উপরে আক্রমণকারীকে সে ক্ষমা করে দেয়। এমনকি, সে এই অন্যায়ের বিচার পর্যন্ত দাবী করছে না। আমরা তো জানি ওই বয়সের কেউ, বন্ধুদের ঠাট্টা পর্যন্ত সহজে ভুলতে পারে না। আর মালালা কি-না তার উপরে আক্রমণকারীর জন্যে কোন ক্ষোভ পর্যন্ত রাখে নি।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো খুব গুরুত্বের সাথে মালালার তালেবানদের হাতে গুলি খাওয়া থেকে আরম্ভ করে তার সুস্থ হওয়া পর্যন্ত প্রচার করলো। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে মালালা এক বিশ্ব আইকনে (Icon) পরিণত হল। তালেবানরা পর্যন্ত স্বীকার করলো, তারা এই ১৬ বছরের কিশোরীকে নীরব করতে ব্যর্থ হয়েছে। মালালা ইউসুফজাই তালেবানদের আক্রমণের ৯ মাসের মাথায় জাতি সংঘে যেয়ে বক্তৃতা করলো। এই বার সে যে কত বিশাল বড় শ্রোতা পেল, তালেবানরা কল্পনায় তা ভাবতে পারে নি!

সারা বিশ্ব তার পাশে এসে দাঁড়ালো। একের পর এক, তার কাজের জন্যে স্বীকৃতি আসতে থাকলো। ইউরোপিয় ইউনিয়ন, তাকে স্বাধীন চিন্তার জন্যে সাখারভ পুরস্কার দিল। এমন্যাসটি ইন্টারন্যাশনাল মালালাকে ২০১৩ সালের আন্তর্জাতিক দূত বানালো। তার অসামান্য সাহস ও অতুলনীয় কর্মকাণ্ডের জাতি সংঘ মহা সচিব বান কি মুনকে পর্যন্ত বিস্মিত হলেন। তিনি মালালাকে এক জন সাহসী ও নম্র শান্তির দূত হিসেবে আখ্যায়িত করলেন। তিনি আরও বললেন, মালালার স্কুলে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা, তাকে এক জন বিশ্ব শিক্ষকে পরিণত করেছে।

মালালা শুধুমাত্র সম্মান ও পদক নিয়েই ক্ষান্ত হয় নি। বাবা জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাই আর অন্যান্য সমর্থকদের সাথে নিয়ে গড়ে তুললো ‘মালালা ফান্ড’। যারা মূল্য লক্ষ পৃথিবীর সব জায়গার যাতে মেয়েরা ক্লাস ১২ পর্যন্ত পড়া লেখা করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্যে কাজ করে যাওয়া।

জুলাই ১২, ২০১৫ ছিল মালালার ১৮ তম জন্মদিন। লেবাননে সিরিয়ার উদ্বাস্তু মেয়েদের জন্যে, মালালা ফান্ড, সেখানে মেয়েদের স্কুল চালু করে। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মালালা বলে, “আমি পৃথিবীর শিশুদের পক্ষ থকে বিশ্ব নেত্রবৃন্দের কাছে দাবী করছি, বুলেটের জায়গায় বইয়ের জন্যে বিনিয়োগ করতে হবে”। একই দিনই সর্ব কনিষ্ঠ নোবেল বিজয়ী লিখলো, শুধু মাত্র ৮ দিন যদি সামরিক খাতে খরচ বন্ধ রাখা হয়, তা হলে ৩৮ বিলিওন ডলার পাওয়া যাবে। এই টাকা দিয়ে পৃথিবীর প্রত্যেকটা শিশুকে ১২ বছর স্কুলে পড়ানো যেতে পারে।

লেবানন ছাড়াও পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, কেনিয়া সহ আরও কিছু দেশে ‘মালালা ফান্ড’ কাজ করছে। ধীরে ধীরে অন্যান্য জায়গায় এই ফান্ডের কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। মালালা স্কুল তৈরির পাশাপাশি মেয়েরা যাতে স্কুলে যেতে পারে, তার জন্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। ইংল্যান্ডে পড়া লেখার পাশাপাশি, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, নিজে যেয়ে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করছে। নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বইও লিখেছে। বইয়ের নামঃ I Am Malala: The Girl Who Stood Up for Education and Was Shot by the Taliban। বইটা ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত হয়। ডেভিস গুগেনহেইম নামে এক বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মালালালে নিয়ে ডকুমেন্টারি ফিল্ম বানিয়েছেন। ছবিটার নামঃ HE NAMED ME MALALA

শেষে ইউসুফজাই মালালার একটা উদ্ধৃতি দিয়ে, তাকে নিয়ে লেখাটা, এই লেখটা শেষ করছি, “আমি শুধু একাকী একটা স্বর না, আমি অনেকের…”। ("I am not a lone voice, I am many")। 

বন্ধুরা তোমরাও কিন্তু, প্রতিটা ভাল কাজে একেবারেই একা না। তোমাদের সমর্থনে অনেক, অনেক মানুষ আছে। 

 

অক্টোবর ১৯, ২০১৫